চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণে নগরীর কোথাও কোথাও হাঁটু ও কোমর সমান পানিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। প্লাবিত হয়েছে নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, অলি-গলি, স্কুল-কলেজেও উঠেছে পানি। নগরীতে জলাবদ্ধতার কারণে কোথাও কোথাও পারাপারের জন্য চলছে নৌকাও। এদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙ্গরেও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, খাঁজা রোড, মিয়াখাননগর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড়, মেহেদিবাগ থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, ছোটপুল, হালিশহরের অনেক এলাকা এখন পানির নিচে। এসব এলাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ। আবার কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার কারণে মাঝ সড়কে গাড়ির ইঞ্জিল বিকল হওয়ায় দেখা দিয়েছে যানজটও।
নগরীর দুই নম্বর গেট থেকে আগ্রাবাদ আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়েছি কোমর সমান পানি মাড়িয়ে। দীর্ঘক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে কোনো গাড়ি না পেয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে গন্তব্যে।’
নগরীর হালিশহর এলাকার মো. জনি বলেন, ‘বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকায় জলাবদ্ধতার তৈরি হয়েছে। পানির জন্য বাসা থেকেও বের হওয়া যাচ্ছে না। ফলে নৌকায় করে হালিশহর থেকে নগরীর আগ্রাবাদ এসেছি আমি।’
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ডিউটি অ্যাসিসটেন্ট মো. রুবেল সমকালকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম রোববার বিকেল ৩টা থেকে সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। আরো কয়েকদিন পর্যন্ত এ বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
পাঠকের মতামত: